কবিতা : বেবী সাউ
হাইওয়ে
প্রতিটি কবিতা নাগরিক
প্রতিটি অক্ষরে মেশে পিচ আর লরীর আঘাত
লোহার শেকলে জীর্ণ লেপার্ড শরীর
লালা, থুতু, বমি মেখে ঘরে ফেরে রোজ
ফ্লুরোসেন্ট চোখে দেখে চষির পায়েস
ঘুম পায় তার... চোখ মেলে চেয়ে থাকে মৃত ধানক্ষেত
জখম ডানায়
নার্সিংহোম
এভাবে পরিখা দেখে
আকুলিবিকুলি মন
ফণা তুলে থাকা চকচকে ইস্পাত
ও তার আচ্ছন্ন হস্তক্ষেপ মেনে
ভূতের আঙুল সেই
ধোঁয়া অভিমুখে হাঁটে
উঁচু পাজরের হাড়ে জমে নেশা ও নৃশংস
প্রতিটি হত্যার আগে সাদা ব্লেড...
সাদা অ্যাপ্রণের দীর্ঘ লকলকে জিভ
অদ্ভুত সংযোজনে বিয়ে সেরে ফেলে...হাত ধোয় লোহার বাসরে
কেকা
ময়ূরের ডাক ভেসে ওঠে...
কর্কশ অথচ লিপ্ত
চাটুকারিতার বেশে অলস কড়িবরগা
চোখ পেতে রাখে
রুরাল আবাসে পাতে দীর্ঘ সুড়ঙ্গের পথ
ইশারায় ময়ূরীর ডাক
শাণিত তীরের ফলা খানখান মাস্তুল ও বুড়ো নাবিকের গলা। কাটো।
বাজার
প্রাইভেট গাড়ি ঘোরে ইঁদুরের গলি ভেঙে
চক্রবালে গেঁথে যায় হতভাগ্য মানুষের চাকা
এপথে সুগম গতি
এপথেই হাঁড়গোড়- পাঁজরের পোলো গ্রাউন্ডের ধুলো
তেজি সেই বাহাদুর! তার মূষিক ভ্রমণ
বহুশ্রুত কাহিনি। নাব্যতা নামায় সেখানে
রাজনীতি। বাণিজ্য তরীটি...
সভ্যতা
শুকনো কাঠ
গাছের ডাল নিয়ে যেসব মানুষজন
হেঁটে আসছে যুগযুগান্তের
বনবাদাড় পেরিয়ে
বিপরীতে
তাদের ছায়া দীর্ঘ...
খুব ভাল। আগের বই থেকে একদম বেরিয়ে যাওয়া লেখা৷
ReplyDeleteখুব ভালো লেখা, মুগ্ধতা আবারও
ReplyDeleteভীষণ ভালো লাগল বেবী।
ReplyDelete