কবিতা : রুমা তপাদার



বিষ ও বিষয়


বিষাক্ত জীবন থেকে কিছুটা বিষয় টেনে নিই 
অসাধ্য  বিষের মতো করে  
সাধন আকার বিষ আমি
পাত্র বিষ  
বিষ বিচ্ছুরণ স্নান 
তীব্র ঘাত তীক্ষ্ণ  ভয় পেয়ে  চলে যেতে যেতে 
একবার ফিরে দেখি আমি সেই চুল খোলা মেয়েটির চোখ,বিষ।
জীবনের পা সামান্য  টলে যায়
মহা ধ্বনি বিষ জন্ম নেয়
দৃশ্যতঃ সাজানো মৃত্যু হয়  
সংসার আমাকে পৃথিবীর মতো ভুলে থাকে

আদেখা  বিষকে জীবকোষ ভাবে অমৃত
জন্মাবধি মৃত্যু নড়ে উঠলে তখন ভাবনা আসে 
শুধুমাত্র মন্থন নামেই যদি কাল জন্ম দিত....       




এখানকার স্থানীয় বৃষ্টিরা আমাকে চেনে
কতবার লাফিয়ে এসেছে কাছে
বুকের ভিতর নিংড়ে আমাকে শুকনো করে গেছে 
ওরা চেনে বলেই মেঘ কালো করে আসে 
ভীষণ ভিজিয়ে দিতে  
অন্ধকার ছাড়া কেউ কখনো ভেজেনি
তাই মেঘ জমে 
জমিন আকাশ ঢেকে যায়
ছটফট করে ওঠে পাণ
চক্র ঘুরছে ধ্বংস কাল ধ্বংস জন্ম   
জীবনের সমস্ত কুলান অকুলান




সমস্ত জীবন আমি শুধু নিজেকে ভেবেছি,নিজেকে ধরেছি, কেঁদেছি হেসেছি ভালোবেসেছি।আমাকে ভালোবাসার জন্যই আমার জন্ম। নিজের দুচোখ ছাড়া কেউ আর এতো গভীরে দেখেনি। ভালোবেসে আমি শরীরের পিছুটান এড়াতে পারিনি।একবুক মাটির প্রবাহ নিয়ে তাই ভেসে চলে গেছি দূরে, মাটির গভীরে, মাটি টলমল করে উঠেছে পা তল খুঁজে না পেয়ে স্তব্ধতা জড়িয়ে ভেসে থেকেছে। আকরিক গর্জনে কান না দিয়ে শূন্যতা প্রত্যক্ষ করে ধারাস্নানে ডুবে গেছি আকুল প্রাণের ডাকে। 




 
প্রতিটি রাস্তায় ছোট একটা টোপ রাখা থাকে। তাকে খুঁজতে হয় না সে নিজেই সন্ধান করে । দেখলেও না দেখার ভান করে চলে যেতে হয়।  টোপ টি ঘোরালো হলে পায়ে পায়ে বাড়ি অবধি ঠিক চলে আসে দিন গিলে রাত করবে বলে।সিঁদকাটা শুরু করে রাস্তার এপারে।




 
বাতাস চলেছে দূরে।এক ঝটকায় ফেলে দিয়েছে আমাকে। চলে গেছে অনেক দূরে। ক্রমাগত দূর আরো দূর আমি চুপ করে চোখ বন্ধ করি অশ্রু নয় গরম ফেনার মতো জল পড়ে। স্নায়ুর ভিতর ফুঁসে উঠি আমি। আত্মা আমাকে হনন করে। মাটি ফেটে গিয়ে আমাকে নতুন যুগে নিয়ে যায় তেজ।নিঃস্ব হওয়ায় শেষে দেখি লোহিত কণিকা একমাত্র আমার সহায়৷

Comments

  1. ভীষণ ভাল লাগল। ৩ ও ৪ নম্বর ছুঁয়ে গেল।
    কলম দীর্ঘজীবি হোক

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

কবিতা : শাশ্বতী সান্যাল

কবিতা : বেবী সাউ